নিশীথের নীরবতায় প্রকৃতি নীরব নিঃসঙ্গ
প্রকৃতির এ নির্জনতায় একাকিত্ব
মনের নিঃসঙ্গ বেদনায় মনে পড়ে,
সেই হারানো দিন ও মুহূর্তের
শত শত স্মৃতি কথা
স্মৃতির আড়ালে মনের অন্তরালে
আজও ভাবি, সেই অতীত জীবনের
শাশ্বত ভাবনা ও অনুতপ্ত বেদনা।
হায় রে স্মৃতিময় অতীত!
তুমি শুধু স্মৃতিদৃশ্য হয়েই মনের
অন্তরাতে বাসা বেঁধেছ দিবসও রজনী
একাকিত্ব মনের ভাবনায়, মনের আবেগ
অনুভূতিতে আজও ভাবি,
সেই নীশি জাগা রজনীর
ভাবান্ত মনের শত বিরহ বেদনার স্মৃতি।
সেই হারানো দিনের বাস্তবতার
প্রতিটি সময় ও মূহুর্তে আজও মনের
আবেগ অনুভূতিতে মিশে রয়েছে
শূন্য বেদনার স্মৃতি ভাবনা।
নীরবতার আঁধারে কত রজনী, কত রাত
মনের অজান্তে ভেবেছি,
সেই সুখতারার ভাবনা।
এই সুদূর প্রবাসে আজও সেই নীরব ভাবনাগুলো
সাথী হয়ে রয়েছে আমার মনের
আবেগ অনুভূতিতে।
কর্মব্যাস্ততা আর কোলাহল মুখর
মূহুর্তের অবসানে,
নির্জন নীরবতার মাঝে সেই
হারানো স্মৃতিভাবনাই আমার মনের
সমবেদনার সাথী।
আমার অতীত জীবনে শত শত বসন্তের
আর্বিভাব ঘটেছে, সুখ বসন্ত সুন্দর,
প্রকৃতির মাঝে পেয়েছিলাম অগণিত
প্রিয় সাথীও আপনজন
হয়তো প্রকৃতি তার চিরন্তন
নিয়মে প্রবাহিত হচ্ছে।
কিন্তু কালের প্রবাহে রয়েছে কি?
সেই জীবন্ত সাথী ও স্বজন?
কালের স্রোতের গতিতে আর ফিরে
আসবে না সেই অগণিত প্রাণ,
যুগে যুগে বাস্তবতার আঙিনার ঘটবে,
কাননে কাননে ফুল ফুটবে,
পাখি গান গাইবে, ভ্রমর ফুলের
মধু আরোহন করবে;
জীবনের অবসানে আমি ও
থাকবো না ও সুন্দর ভুবনে।
হয়তো কালের বিবর্তন ধারায়
কোন এক মূহুর্তে চলে যাবো অনেক
দূরে বহু দূরে, অজানা দেশে,
অনাগত প্রজন্ম আমার কবিতার
কথাগুলো পড়ে ভাববে কি
কোন এক নীরব অবসরে?