ঢাকারবিবার , ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  1. আজ দেশজুড়ে
  2. আজকের সর্বশেষ
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আশাশুনি
  5. কলারোয়া
  6. কালীগঞ্জ
  7. কৃষি সংবাদ
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. গ্রামীণ সাংবাদিকতা
  11. চাকরির খবর
  12. জাতীয়
  13. জীবনযাপন
  14. তারুণ্য
  15. তালা

‘মব’ সৃষ্টি করে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩

ডেস্ক রিপোর্ট
এপ্রিল ১৩, ২০২৫ ৫:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় আ. গফুর (৪০) নামে এক ব্যক্তি ও তার ১৫ বছর বয়সী ছেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিক তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় পার্শ্ববর্তী রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে হারুন নামের এক ব্যক্তির বাড়ি, দোকান ও একটি মাজার ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা।

আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে আশপাশ এলাকা। বৃদ্ধ ও নারীরা বাড়িতে থাকলেও তারা ভয়ে কিছু বলছেন না।

নিহত আ. গফুর ও তার ছেলে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রি ও চুরির অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে তাদের প্রতি নিজের গোষ্ঠীর লোকজনও অতিষ্ঠ ছিল বলে জানিয়েছে গ্রামের লোকজন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নিহত বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি এবং চুরির ঘটনার সালিশ বসার কথা ছিল। এ জন্য দুপুরে গফুরের বাড়ি-সংলগ্ন নাওগাঁও হোসেনীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার সামনে গ্রামের শতাধিক মানুষ উপস্থিত হয়। কিন্তু এই শালিসে আ. গফুর ও মেহিদী হাসান উপস্থিত না হয়ে নিজ ঘরের সামনে রামদা হাতে বসে ছিলেন। এ সময় তাদের ডাকতে শালিসের কয়েকজন লোক বাড়িতে গেলে দা নিয়ে তেড়ে আসেন আ. গফুর। এতে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আ. গফুর ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে হত্যা করেন। এ সময় বাবা-ছেলের মাদক বিক্রি সেবনের আস্তানা হিসেবে পরিচিত পাশের গ্রামের হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যক্তির বাসা, দোকান ঘর ও একটি মাজার ভাঙচুর করে জনতা।

নিহত আ. গফুরের স্ত্রী শিল্পি আক্তারের অভিযোগ, স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ শতাধিক মানুষ শালিসের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা যত অপরাধই করে থাকুক দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমে বিচার হতো। কেন তারা বাবা ও ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করল?

এদিকে বাবা-ছেলে নিহত হওয়ার পর থেকে শালিসকারীরা গা ঢাকা দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিশ বসেছিল। কিন্তু বাবা-ছেলে শালিসে না আসায় সালিশ থেকে গিয়ে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

অপরদিকে এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে এদিন বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম। এ সময় তিনি ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, জমি বন্ধকের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বসহ মাদক বিক্রি ও চুরির অভিযোগে ‘মব’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বাবা ও ছেলে হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এটা উচিত হয়নি, এটি অবশ্যই অপরাধ। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

error: Content is protected !!