সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিয়ার ব্রহ্মরাজপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুল) এসএসসি প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রথম দিনেই ২৫ পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হলে বসতে না দিয়ে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে। জানা যায়, পরীক্ষার সময় বেতন বকেয়া থাকায় শিক্ষার্থীদের এমনভাবে শাস্তি দেন শিক্ষকরা। যা অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও এলাকায় চঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অভিভাবকদের অনুরোধে স্থানীয় সাংবাদিকরা সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। এ সময় হলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুকুমার সরকার অকপটে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন।
ঘটনার কিছুটা এড়িয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরু হলেও কিছু শিক্ষার্থী ২০২৫ সালের সমুদয় বেতন পরিশোধ করেনি। তাই তাদেরকেপরীক্ষার হল থেকে অপর শিক্ষক মোস্তফার কাছে নেয়া হয়েছিল।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, যার ফলে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয় এবং তারা ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারেন নি। কয়েকজন কোমলমতি শিক্ষার্থী বলেন, বাবা-মা বেতন না দিতে পারলে আমরা কোথায় পাবো? অথচ পরীক্ষা দিতে এসে আমাদের দীর্ঘক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল বলেন, আমার অজান্তে কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এভাবে হয়রানি করেছেন। এতে আমার ও বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
একাধিক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের দাবি, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কিছু শিক্ষক-কর্মচারীর দ্বন্দ্ব আছে। তাই স্কুল ও প্রধান শিক্ষকের ঘাড়ে দায় চাপাতে সহকারী শিক্ষক মুকুল হোসেন, আকলিমা খাতুন ও আল মামুনসহ কয়েকজন এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা শিক্ষা বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ।