ঢাকাসোমবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. আজ দেশজুড়ে
  2. আজকের সর্বশেষ
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আশাশুনি
  5. কলারোয়া
  6. কালীগঞ্জ
  7. কৃষি সংবাদ
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. গ্রামীণ সাংবাদিকতা
  11. চাকরির খবর
  12. জাতীয়
  13. জীবনযাপন
  14. তারুণ্য
  15. তালা

সাতক্ষীরায় পেরিফেরিভুক্ত জমি ইজারায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা
সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫ ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর বাজারের পেরিফেরিভুক্ত সরকারি খাস জমি একসনা ইজারায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা, তহশীলদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমিতে ব্যবসা করে আসা ব্যক্তিরা নিয়ম অনুযায়ী ইজারা নিতে গেলে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, বাজারের স্থায়ী ব্যবসায়ীরা একসনা ইজারার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করেন। তবে ইজারা প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য ঘুষ দাবি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। এরই মধ্যে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি দালালদের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ইজারা পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

চাঁচাই গ্রামের মৃত সবেদ আলী মোল্লার ছেলে মন্তাজ মোল্লা জানান, প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে আমি ওই বাজারে দোকান করে আসছি। চাউল, কুড়া এবং চায়ের দোকান চালাই। সরকারি নিয়ম মেনে ইজারা নেওয়ার জন্য আমি আমার স্ত্রী রাফিজা খাতুন ও ছেলে সাহেব আলীর নামে আবেদন করি।

উপজেলা ভূমি অফিসের তহশীলদার নুরুল ইসলাম ও সার্ভেয়ার অমল কান্তি ঘোষ আমাদের থেকে ২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্সসহ সব কাগজপত্র নিয়ে যান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সব কাগজপত্র নেওয়ার পর আমরা জানতে পারি দালালদের যোগসাজশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জাহানারা খাতুন ও তার স্বামী নুরুজ্জামান সরদারের নামে ইজারার আবেদন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০২৩ সালে তৎকালীন উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সরকারি প্রফেসর, শিক্ষকসহ তিন ভাইয়ের নামে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সরকারি খাস জমি ইজারা দিয়েছিলেন। এবারও একই ধরনের অনিয়মের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, বিষ্ণুপুর বাজারের সরকারি পেরি-পেরি ভুক্ত জমি দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মে দখল হয়ে আছে। বর্তমানে একাধিক ব্যক্তি ওই জমির ইজারার জন্য আবেদন করেছেন। আমি তদন্ত করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমন্বয় করে সঠিক ব্যবস্থা নেব।

তবে স্থানীয় তহশীলদার নুরুল ইসলাম বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এসিল্যান্ড স্যার জানেন, তার সঙ্গে কথা বলুন।”
হাটবাজারের খাস জমি ইজারার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার অমল কান্তি ঘোষও মন্তব্য না করে শুধু বলেন, আমি বাজারে গিয়ে দেখেছি। এর বাইরে কিছু বলব না।

বিষ্ণুপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হাটবাজারের সরকারি জমি ইজারায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসকের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তাদের দাবি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দালালচক্র ও অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি খাস জমির ইজারাকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী মহল ও দালালদের সিন্ডিকেট সক্রিয় হওয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফুঁসছে।

error: Content is protected !!